গোলাপী হিমালয় লবণ আমাদের প্রতিদিনের খাবারের লবণের চেয়ে অনেক ভালো। এই লবণ বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণ যা বিষাক্ত এবং দূষিত পদার্থ থেকে মুক্ত। এই লবণ হিমালয়ের পাহাড় থেকে তৈরি এবং সেখানে এটি "সাদা সোনা" নামে পরিচিত। এই লবণের স্বতন্ত্রতা এর গোলাপী রঙের কারণে যা আয়রন অক্সাইডের উপস্থিতির কারণে। তাই এই লবণকে "পিঙ্ক সল্ট"ও বলা হয়।                    
তবে আজ নয়, পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই এই লবণ প্রকৃতিতে রয়েছে। হিমালয় লবণ সাধারণ লবণের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই লবণের পেছনে রয়েছে একটি ছোট ইতিহাস।                   
লক্ষ লক্ষ বছর আগে এভারেস্ট থেকে এক ধরনের যৌগ এসে সমুদ্রের জলে মিশে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে, এটি গোলাপী স্ফটিক কণাতে দৃঢ় হয়। আর এভাবেই তৈরি হয় হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। আমরা যে গোলাপী হিমালয়ান সল্ট সরবরাহ করি তা খুবই বাস্তব মানের।                   
পটাশিয়াম, সালফেট, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি ছাড়াও ৬৪ ধরনের খনিজ রয়েছে।              

গোলাপী হিমালয়ান সল্ট খাওয়ার উপকারিতা:         

১. এই লবণ দিনে একবার খেলে শরীর ডিটক্সিফাইড হয়। শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে।         

২. এই লবণ রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।             

৩. কিডনি, লিভার ভালো থাকবে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।        

৪. শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখে।       

৫. শরীর ও মন শান্ত থাকে। ভালো অনুভূতির হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। ফলে ঘুম ভালো হয়।         

৬. পেশী সংকোচন ভাল রাখে।         

প্রতিদিন প্রয়োজন মতন সকল ধরনের রান্নাই ও পানীয় এর সাথে পিংক সল্ট ব্যবহার করা বেশী স্বাস্থ্যকর।         
প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে এই লবণ মিশিয়ে খেতে পারলে হজমের সমস্যা দূর হয়।